রংপুর সিটির নির্বাচন ডিসেম্বরে, পরীক্ষামূলক ডিভিএমের চিন্তা
রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে কয়েকটি ওয়ার্ডে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনাও আছে কমিশনের।
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হয়তো সেকেন্ড উইকের (দ্বিতীয় সপ্তাহ) পরে। কারণ ডিসেম্বরের সেকেন্ড উইক পর্যন্ত বিভিন্ন সমাপনী পরীক্ষা থাকে। আমরা সাধারণ নির্বাচনের ন্যূনতম ৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করি। এই ক্ষেত্রেও তাই করা হবে।’
ডিভিএম যা আগে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নামে পরিচিত ছিল- এর ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করেছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক বা একাধিক ওয়ার্ড ডিভিএম পরীক্ষামূলকভাবে করা যায় কি না। এ বিষয়ে আমরা কাজ করব। সম্ভব্যতা যাচাই করে অত্যন্ত এক বা একাধিক ওয়ার্ডে সেটা আমরা করার চেষ্টা করব।’
দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনা. (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকের আগেই হয়তো নির্ধারণ হবে কবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক। এজেন্ডাও এ সময় নির্ধারণ হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে বলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ইসি।
ইসি সচিব আরো জানান, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১১টি। সম্ভব্য ভোটকেন্দ্র ১৮২টি এবং সম্ভাব্য ভোটকক্ষ থাকছে এক হাজার ২০০টি। এ সিটিতে ভোট হয়েছিল ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর।