ফরিদপুরে বজ্রাঘাতে ইমামসহ সাতজন নিহত
ফরিদপুরে পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে ইমামসহ সাতজন নিহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সালথা উপজেলায় মা ও ছেলেসহ তিনজন, বোয়ালমারী উপজেলায় দুজন, সদর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় দুই দিনমজুর নিহত হয়। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন।
আজ সোমবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে চরভদ্রাসন উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনসহ জেলায় মোট ছয়জন বজ্রাঘাতে মারা যান।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফায়েকুজ্জামান বলেন, আজ দুপুরে বজ্রাঘাতে সালথার ভাবুকদিয়া গ্রামের গৃহবধূ হেলেনা বেগম ও তাঁর শিশুপুত্র হেলাল মারা যায়। এ ছাড়া মো. মিলন নামের আরো একজন মাঠে কাজ করার সময় মারা যান।
এদিকে চরভদ্রাসনের ছমির ব্যাপারীর ডাঙ্গী এলাকায় একটি জমিতে তিন দিনমজুর কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে কাবুল নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। এ ঘটনায় অপর দুই দিনমজুর আহত হন। তাঁদের চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, কবিরপুর খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রাঘাতে মো. ওমর আলী (৪৫) নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি নাটোর জেলায়। এ সময় আরেক দিনমজুর আহত হন।
জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে আজ বজ্রাঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। দুপুরে বাজিতপুর মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আওয়াল ফকির (৪৮) গরু আনার জন্য দুর্গাপুর মাঠে গেলে বজ্রাঘাতে সেখানেই মারা যান। এ সময় তাঁর গরুটিও মারা যায়। একই গ্রামের উত্তরপাড়ার ফরহাদ মোল্লা (৩৫) গোয়ালঘরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় গোয়ালঘরের ওপর বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান।
আজ সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে।