পত্রিকা-টিভির অনলাইনের নিবন্ধন লাগবে না
জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭ এ অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে আগে নিবন্ধন নিয়ে প্রচারিত ও প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলের অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। অনলাইন গণমাধ্যম সম্প্রচার কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. শফিউল আলম এসব তথ্য জানান।
শফিউল আলম বলেন, নিবন্ধনের জন্য প্রায় এক হাজার ৮০০ অনলাইন গণমাধ্যম আবেদন করেছে। এই নীতিমালার পরে একটি আইন দ্বারা সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। ওই কমিশন অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেবে।
‘যেসব পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলের আগে থেকেই নিবন্ধন রয়েছে, সেগুলোর অনলাইন সংস্করণের ক্ষেত্রে নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। তবে তাদের কার্যক্রমের পূর্ণ বিবরণ সম্প্রচার কমিশনকে অবহিত করতে হবে।’
সচিব আরো জানান, দেশে অনেক গণমাধ্যম এখন কাজ করছে। আইনের আওতায় এনে সুনিয়ন্ত্রিতভাবের এগুলোকে চালানোর জন্য এ নীতিমালা করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনেই সম্প্রচার কমিশনের কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া থাকবে।
এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি (রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন উপকর) আইন-২০১৭ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শফিউল জানান, ১৯৬০ সালের আইন দ্বারা এ কার্যক্রম চলে আসছিল। এটি এখন হালনাগাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি করও বাড়ানো হয়েছে। উপকর আগে ছিল মণপ্রতি ১২ পয়সা। এখন মণপ্রতি ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৭ এর খসড়ার এবং অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৩ অনুমোদন দেওয়া হয়।