বাঁচতে চান শতাব্দী, দরকার ৩০ লাখ টাকা
শ্বেতা শতাব্দী এষ। জন্মের ছয় মাস পর থেকেই দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিনি। এর মধ্যেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সৃজনশীল লেখালেখিতে। পুরস্কারও পেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগ থেকে সম্পন্ন করেছেন স্নাতকোত্তর। একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় কাজটি ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাঁকে ভারতের ভেলোরো খ্রিস্টান মিশনারি হাসপাতালে যেতে বলেছেন। সেখানে চিকিৎসা করাতে দরকার ৩০ লাখ টাকা। আর এই টাকা জোগাড় হলে হয়তো সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন মেধাবী এই তরুণী।
২৫ বছর বয়সী শতাব্দীর গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরে। তাঁর বড় বোন মন্দিরা এষ জানান, শতাব্দীর জন্য প্রতি মাসে চিকিৎসা বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার।
থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে অন্য অনেক রোগও দেখা দিয়েছে শতাব্দীর। এখন তাঁর হাঁটা-চলা করাই দায় হয়ে পড়েছে। তাঁর যকৃতের অবস্থা খারাপ।
মন্দিরা এষ জানান, ২০০৯ সালে অতিরিক্ত আয়রনের কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয় শতাব্দীর। তাঁর প্লীহা অপসারণ করতে হয়। ফলে নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হয় তাঁকে। একই সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত আয়রনের কারণে তাঁর যকৃত মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাঁর হাড়ের ক্যালসিয়াম বিপজ্জনক পর্যায়ে কমে গেছে। হরমানে ভারসাম্যহীনতায় দেখা দিয়েছে নানারকম শারীরিক সমস্যা।
বড় বোন মন্দিরা আরো জানান, শতাব্দীর ‘বিপরীত দূরবীনে’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের বইমেলায়। বইটি এরই মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের মায়ের নামে প্রবর্তিত ‘আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭’ পায়। তিনি জানান, স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর একটি বহুজাতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কাজে যোগদানের কিছু দিনের মধ্যে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তিনি পঙ্গুপ্রায়, রয়েছেন শয্যাশায়ী। তাঁর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ চিকিৎসার।
শতাব্দী এষের কাছে সাহায্য পাঠাতে চাইলে
শতাব্দী এষ, হিসাব নম্বর ৩৪১২৬৬৩৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস করপোরেট শাখা, জনতা ব্যাংক লিমিটেড। বিকাশ নম্বর : ০১৯১৪-৮৬৭৬৮৭ (ব্যক্তিগত)।
থ্যালাসেমিয়া কী?
থ্যালাসেমিয়া এমন এক দুরারোগ্য রোগ যাতে আক্রান্তদের রক্তে লোহিত কণিকা জন্মায় না। জন্ম থেকে অথবা শিশুকালে যেকোনো সময়ে এই রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগে আক্রান্তদের আজীবন একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর শরীরে রক্ত গ্রহণ করতে হয়। প্রয়োজনীয় এই রক্ত গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে তৈরি হয় অপ্রয়োজনীয় নানা জটিলতা। অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় লৌহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জমে দীর্ঘস্থায়ী অথবা চিরস্থায়ী ক্ষতি সাধন করে।