‘আল্লাহ মেহেরবান’ গান সরাতে আইনি নোটিশ
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘বস টু’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত গান ‘আল্লাহ মেহেরবান’ তিনদিনের মধ্যে ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে আইনি নোটিশ দিয়েছেন এক আইনজীবী। ওই গানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজিজুল বাশার।
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজিজুল বাশারের পক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান ডাকযোগে আইনি নোটিশটি পাঠান।
‘আল্লাহ মেহেরবান’ গানটি এখন ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে। সেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়া ও ভারতীয় বাংলা ছবির নায়ক জিৎ। উভয়েই ওই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তবে চলচ্চিত্রটি এখনো মুক্তি পায়নি।
আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ’গানটিতে আল্লাহর পবিত্র নামকে জঘন্যভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এই গানটিতে আল্লাহর পবিত্র নামকে এত জঘন্যভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
পাঠানো নোটিশে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব,সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, চলচ্চিতত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাজ মাল্টি মিডিয়ার পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ‘আমার মক্কেল একজন সহজ -সরল, শান্তিপ্রিয় নাগরিক। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। অপরদিকে নোটিশ গ্রহীতারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।’
নোটিশে বলা হয়, “আমার মক্কেল গত ২৭ মে আমার মক্কেল ইউটিউবে 'আল্লাহ মেহেরবান' গানটি খুঁজে পান। তিনি গানটিকে ইসলামী গান মনে করে দেখিতে পান বস-২ নামক চলচ্চিত্রের আইটেম সং। এই চলচ্চিত্রে মূল অভিনেতা জিৎ এবং অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। পরবর্তী সময়ে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন চলচ্চিত্রটি ভারত–বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার একটি ছবি। বাংলাদেশের পক্ষে এটি প্রযোজনা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
নোটিশে বলা হয়, ‘গানটিতে আল্লাহর পবিত্র নামকে এত জগন্যভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে যে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।’ পবিত্র রমজানের আগে এ রকম ধৃষ্টতাপূর্ণ গান মুক্তি দিয়ে প্রযোজনা সংস্থাটি দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বলেও নোটিশে উল্লেখ আছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে গানটির ভিডিও ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে না ফেলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’