শনিবার থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
সারা দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আগামী শনিবার থেকে উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
এ ছাড়া রমজান মাসে সারা দেশের সিএনজি স্টেশন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বিপণিবিতানগুলোতে বাতির ব্যবহার সীমিত রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ১০ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে। আমরা আশা করছি আগামী শনিবার থেকে আমরা ১০ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে বিদ্যুৎ দিতে পারব। পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে।’
নসরুল হামিদ আরো বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ লোড ধরে যদি চালাই তাহলে যেকোনো সময় ব্ল্যাকআউট হতে পারে। মনে করেন গরম পড়ছে। হঠাৎ করে যদি বৃষ্টি হয়, এই নয় হাজার থেকে নেমে চার হাজারে চলে আসবে। এই পাঁচ হাজারের যে গ্যাপটা এটা যদি আমি সঙে সঙ্গে বন্ধ না করি তাহলে পুরো লোডের ওপর চাপ পড়ে কিন্তু গ্রিড আউট হয়ে যাবে। এজন্য হাতে অন্তত ১০ শতাংশ রিজার্ভ লোড রাখতে হয়। যেটা দিয়ে আমাদের কন্ট্রোল করতে হয় ফ্রিকোয়েন্সি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বেসরকারি খাতের সামিট বিবিয়ানা ৪৫০ মেগাওয়াট ও সামিট মেঘনা ঘাট ৩৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট দুটি আগামী শনিবার উদ্বোধন করা হবে। এই জন্যই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘দেশব্যাপী যা হচ্ছে সেটাকে আমি লোডশেডিং বলব না, বলব লোড শেয়ারিং। এর মানে হলো বেশি চাহিদার জায়গায় কম চাহিদার জায়গা থেকে এনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়ে সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের টাওয়ার ভেঙে পড়েছে।’ এজন্যও বিদ্যুতের এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের যে বিভ্রাট আছে তা আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে স্থায়ীভাবে ঠিক হয়ে যাবে।