কিশোরী শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী-সন্তানকে জখম
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে কিশোরী শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ব্যক্তি। এ সময় তিনি তাঁর স্ত্রী ও ছয় মাস বয়সী শিশুসন্তানকেও কুপিয়ে জখম করেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাবই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সালাউদ্দীন নামের একজনকে আটক করেছে।
নিহত শ্যালিকার নাম মনি বেগম (১৬)। সে দক্ষিণ পাবই গ্রামের মৃত মছলু মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার আলাউদ্দীনের ছেলে সালাউদ্দীনের সঙ্গে দুই বছর আগে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাবই গ্রামের মৃত মছলু মিয়ার মেয়ে রায়না বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের পরিবারে মাছুম মিয়া নামে ছয় মাস বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে কিছুদিন ধরে রায়না বেগম বাবার বাড়ি ছিলেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সালাউদ্দীন শ্বশুরবাড়িতে যান এবং রাতে সেখানে থাকেন। আজ সকালে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সালাউদ্দীনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সালাউদ্দীন হাতে থাকা ছুরি দিয়ে শ্যালিকা মনি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা এবং স্ত্রী রায়না ও শিশুসন্তান মাছুমকে আহত করেন।
খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী সালাউদ্দীনকে ছুরিসহ আটক করে পুলিশে দেন। রায়না ও তাঁর শিশুসন্তান মাছুমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুজ্জোহা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে দুলাভাইয়ের হাতে শ্যালিকা খুন হয়েছে। দুলাভাই সালাউদ্দীনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।