যেভাবে এইচএসসির উত্তরপত্র গেল রাবির গণরুমে
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ১০০টি উত্তরপত্র চার হাত ঘুরে জমা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মন্নুজান হলের গণরুমে। পরে আজ সোমবার বিকেলে সেখান থেকে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উত্তরপত্র উদ্ধারের পর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তাঁরা হলেন রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও শাহ মখদুম কলেজের প্রভাষক মাসুদুল হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ওই ১০০টি উত্তরপত্রের কোড ২৬৮ (ইসলামের ইতিহাস)। শিক্ষা বোর্ড থেকে উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তিনি ওই উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়নের জন্য শাহ্ মখদুম কলেজের প্রভাষক ও এমপিথ্রি কোচিংয়ের রাবি শাখার পরিচালক মাসুদুল হাসানকে দেন। তিনি সেই উত্তরপত্রগুলো নিজে মূল্যায়ন না করে তাঁর কোচিংয়ে কর্মরত রাবির এক ছাত্রকে দেন। ওই ছাত্র আবার সেই উত্তরপত্রগুলো নিজে মূল্যায়ন করেননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী ও তাঁর বান্ধবীকে মূল্যায়নের জন্য দেন। আজ ওই ছাত্রীর কাছ থেকেই উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্র জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী গণরুমে উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করতেন। আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করেন। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন প্রক্টর। পরে সেখানে যান রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাঁরা হল থেকে উত্তরপত্রগুলো নিয়ে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে আমরা ওই হলে যাই। সেখানে গণরুমের মেঝে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করি। পরে সেগুলো রাজশাহী বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার বলেন, ‘রাবির হলে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের ১০০টি উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’