প্রতিবছর চিংড়ি উৎপাদনের পরিমাণ ৮৫ হাজার টন
দেশে এখন প্রতিবছর ৮৫ হাজার টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে বিদেশে রপ্তানি হয় ৪০ হাজার টন। এর মধ্যে কেবল সাতক্ষীরায় উৎপাদিত হয় ২৬ হাজার টন চিংড়ি।
আজ শুক্রবার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত চিংড়ি চাষবিষয়ক এক কর্মশালায় এসব তথ্য দেওয়া হয়। মৎস্য অধিদপ্তর ওই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশের কে কোথায় কোন পদ্ধতিতে চিংড়ি উৎপাদন করছেন তা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ট্রেস্যাবিলিটি চালু করা হয়েছে। হ্যাচারিতে পোনা থেকে খামারে অবমুক্তকরণ এবং বিদেশে রপ্তানি পর্যন্ত সব তথ্য এতে ফুটে উঠবে। এতে চিংড়ি উৎপাদনে কোনো ধরনের অনিয়ম থেকে থাকলে তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট গ্রুপের ওপর পড়বে। ফলে বাংলাদেশের চিংড়ির রপ্তানি বাজার নষ্ট হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খামারিরা যাতে বঞ্চিত না হন সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি হিসাবে দেশের নদী-খাল পলিযুক্ত হয়ে পড়লেও তা খননের উদ্যোগ নেবে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসাবে দেখতে চাই।’
কর্মশালায় চিংড়িচাষিদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়া হয়।
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক, হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি সমিতির পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ।