‘ঝুলন্ত উদ্ধারের’ পর বাঙলা কলেজের ছাত্রের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে ‘ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার’ হওয়া এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ছাত্রের নাম মো. হোসাইন (১৮)। তিনি মিরপুর বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি পরিবারের সঙ্গে সেনপাড়ার সাততলাবিশিষ্ট ৩৯/১২ নম্বর বাসার নিচতলায় থাকতেন।
হোসাইন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার গবুয়া গ্রামের প্রয়াত মোখলেস আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগে আজ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার দাবি করেছে।
হোসাইনের বড় ভাই মোহাম্মদ হাসান জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। দুই বছর আগে এলাকার একটি মেয়েকে তিনি পছন্দ করতেন। কিছুদিন পর তারা এলাকা থেকে চলে যায়। এর পর থেকেই হোসাইনের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মাঝেমাঝেই তিনি অচেতন হয়ে পড়তেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে চিকিৎসাও করানো হয়।
হাসান আরো জানান, গতকাল রাতে হোসাইন নিজের মাথার সব চুল কেটে ফেলেন। আজকে সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। অনেকক্ষণ পর আবার বাসায় ফিরে আসেন। পরে পৌনে ১২টার দিকে তাঁকে কক্ষের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখা যায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, হোসাইনের লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।