হাওরে অকালবন্যা মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয় : বিএনপি
অকালবন্যায় হাওর এলাকায় বিরাজমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতিকে মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয় এবং এজন্য জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী, সরকারি আমলা ও ঠিকাদার জড়িত বলে অভিযোগ করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য সেলের সদস্য সচিব ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন আহমেদ সেলুর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অসীম সরকার বাঁধন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিকে মাথায় রেখে হাওরবাসীর প্রয়োজনীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন না করে অপরিকল্পিত প্রকল্পের কারণেই আজকের এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ‘হাওর মহাপরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার’ নামে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। বন্যা মোকাবিলায় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ক্ষেত্র বিশেষে সম্পন্ন হয়েছে ১০ থেকে ৩৫ ভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিয়মিত নদী খননের মাধ্যমে পাহাড়ি ঢলের পলি অপসারণ না করা, ফসলি জমির ওপর রাস্তা নির্মাণ, স্লুইস গেটের ত্রুটি, বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত প্রকল্পে দুর্নীতি এবং গড়িমসির কারণে অকাল বন্যায় হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী, সরকারি আমলা ও ঠিকাদাররা। তাঁদের জন্য হাওরাঞ্চল বিপন্ন হতে চলেছে।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে জরুরি খাদ্য সাহায্য চালু, ঋণের সুদ মওকুফ ও নতুন করে ঋণ প্রদান, পানি দূষণ রক্ষায় সরঞ্জাম প্রদান, জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও স্বাস্থ্য শিবির স্থাপনসহ অবিলম্বে হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকা ঘোষণা নিয়ে সম্প্রতি দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিবের বক্তব্যকে ব্যঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে বিএনপি নেতাদের গতকাল রোববার হাওর এলাকা সফরের সময় সেখানকার বিপর্যয়ের চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে জাবেদ করিম, সন্দীপ রায়, রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন শামীম, আতিকুর রহমান পিন্টু, সাইফুল আলমগীর, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন দুদু, অ্যাডভোকেট শওকত কবীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।