বেদখল হওয়া সম্পত্তি ও ফুটপাত উদ্ধারে পুলিশ চেয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

আজ রোববার বিকালে রাজধানীর নগর ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের নবম সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, গণপূর্ত ও গৃহায়ণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

পরিবহনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি সঠিক প্রস্তাব। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশ নিয়োগের জন্য সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘সভায় আমরা এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুপারিশ করেছি। স্বরাষ্ট্র সচিব সভায় ছিলেন, তিনি এটিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। আসলেই এটি একটি ভালো প্রস্তাব।’

পৃথক তিনটি সংস্থাই ১০০ করে ৩০০ পুলিশ নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সংস্থাগুলোর অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। এসব উদ্ধারে এই পুলিশ কাজ করবে।

পরিবহন খাতে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নে চাপ আছে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ভালো কাজে চ্যালেঞ্জ আসবেই। সেটি মোকাবিলা করার সৎসাহস আমাদের আছে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ রাজধানীতে আধুনিক চার হাজার বাস নামানোর প্রস্তাব করেছেন। এ বিষয়ে দুই সিটি করপোরেশনও রাজি হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এ নিয়ে সভা হবে বলে পুনরায় জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, কদমতলী ইন্টারসেকশন থেকে দক্ষিণে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে চুনকুটিয়া ইন্টারসেকশন পর্যন্ত রাজউকের এই ফ্লাইওভার হবে। ৬৬৪ মিটারের ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।