নেত্রকোনার হাওরে আগামী এক সপ্তাহ মাছ ধরা যাবে না
নেত্রকোনার তিন উপজেলার হাওরে আগামী এক সপ্তাহ মাছ ধরা যাবে না। আজ শুক্রবার থেকে মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরীর হাওরে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে মাইকের মাধ্যমে প্রচারও করা হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টির কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের চর হাইজদা বেড়িবাঁধ ভেঙে নষ্ট হয়েছে ডিঙ্গাপোতা, কীর্তনখোলা, পাঙ্গাসিয়া, নাওটানা হাওরসহ জেলার ছোট-বড় ১৩৪টি হাওরের বোরো ফসল। আর এসব হাওরের মাছও মরে যাচ্ছে।
কয়েকদিন ধরে হাওরে বোয়াল, আইড়, পাবদা, মেনি, বাইম, গনিয়া এবং ছোট মাছের মধ্যে পুঁটি, চিংড়ি, চাপিলা, টেংরা, গুলশা মাছ ও মাছের লাখ লাখ রেণু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে পানিতে। কাঁকড়া, সাপ, শামুক, ঝিনুক মরেও পানিতে ভাসছে। ডিঙ্গাপোতা হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে বিষাক্ত গ্যাসের প্রতিক্রিয়ায় শ্বাস নিতে না পারায় তীরের দিকে ভেসে উঠে মাছ আর সাধারণ মানুষ সেই মাছ ধরে নিয়ে বিক্রি করছে বাজারে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ জানান, জেলার ছোট হাওরগুলোতে পানি কম থাকায় সেখানে বেশি মাত্রায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে স্থানীয়দের পানিতে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। এতে করে হাওরের পানি ঘোলা হবে না অন্যদিকে এসব মাছ খেয়ে কেউ অসুস্থও হবে না। পানি ঘোলা না হলে অ্যামোনিয়া গ্যাসের পরিমাণও বাড়বে না। আর যে মাছগুলো দুর্বল হয়ে কিনারে চলে আসছে সেগুলো আবার সুস্থ হয়ে ফিরে যাবে। এ ছাড়া আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ প্রযুক্তি গ্রহণ করা হচ্ছে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ আলম মুকুল বলেন, ‘জেলার হাওরগুলোতে এরই মধ্যে আগাম বন্যায় ধান পচে নষ্ট হয়ে পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। এই মাছ খেয়ে যাতে কেউ অসুস্থ না হয়, তাই আমরা এলাকায় মাইকিং করে মাছ ধরা নিষেধ করেছি।’