বাঁশখালীর ১৪টি ইউপি নির্বাচন স্থগিত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন গেজেটে পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে আইনজীবী মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি বছর ৩০ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। বাঁশখালীতে গত বছর জুনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। চলতি মাসে সেসব ইউনিয়নে পুনরায় ভোট গ্রহণের তারিখ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চলতি বছর হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে নতুন গেজেটের মাধ্যমে পুনরায় তফসিল ঘোষণার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।’
এই ১৪টি ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৪ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। সেই নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধর করলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
সেই নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য গত ৮ মার্চ একটি চিঠি ইস্যু করে নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠিতে ভোটগ্রহণের জন্য ১৬ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়, যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল সেই অবস্থা থেকেই আবার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে।
গেজেট নোটিফিকেশন করে নতুন করে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাঁশখালীর সরলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রার্থী জাফর আহমেদ গত ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।