কারাগারে আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হলো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কারাগারের স্মৃতিবিজড়িত অংশে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ শিরোনামের এই প্রদর্শনী চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা ইতিহাসকে দখল করে রাখতে চায় তাদের অনুরোধ করব এই প্রদর্শনী দেখতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই প্রদর্শনী দেখলে তাদের দৃষ্টির সামনে যে ধোঁয়াশা রয়েছে তা কেটে যাবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমাদের সমাজে তথা রাষ্ট্রের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে কিন্তু আমরা সহনশীলতা ও উদারতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি। এই প্রদর্শনী দেখে জাতির জনকের মতো মানুষের জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে অযাচিত চিন্তা সরিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’
প্রদর্শনীটি সম্পর্কে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী পুরাতন কারাগারের ভেতরে আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। এতে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্ব এবং ঐতিহাসিক ঘটনার আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। টিকেট বিক্রির টাকা দিয়ে পুরো প্রদর্শনীর ব্যয় বহন করা হবে। এ ছাড়া টিকেট বিক্রির অর্থের একটি অংশ কাশিমপুর কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারের শিশুদের জন্য খেলাধুলার সামগ্রী ও বই কেনায় ব্যয় করা হবে।
কারা মহাপরিদর্শক আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র নিয়ে কারাগারের আমদানি সেলের চারটি কক্ষে নির্মাণ করা হবে তিনটি গ্যালারি। ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নতুন প্রজন্ম গ্যালারি পরিদর্শন করে স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শনীর আয়োজক সংস্থা জার্নির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের চেয়ারপারসন মাহফুজা খানম, ডাকসুর সাবেক জিএস মাহবুব জামান, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি অধ্যাপক এ কে এম আবদুল মোমেন ও জার্নির কিউরেটর নাজমুল হাসান।
প্রদর্শনীতে মোট ১৭১টি দুর্লভ আলোকচিত্র থাকবে। এসব ছবিতে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালির ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে কারাগারের বিভিন্ন জায়গা ও প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা।