১১ ঘণ্টায়ও আফিল পেপার মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দিতে অবস্থিত আফিল পেপার মিল কারখানার আগুন ১১ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাত সোয়া ১০টায়ও ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি স্টেশনের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছিল।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওয়েল্ডিংয়ের স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
ঢাকা জোনের ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল থেকে ছয়টি স্টেশনের নয়টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ছয়টি স্টেশনের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের আটটি ইউনিট, চট্টগ্রাম জোনের পাঁচটি ইউনিট এসেছে। শিগগিরই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে ধারণা করছি।’
এর আগে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর রেজা এ রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারখানার ওয়েল্ডিংয়ের স্ফুলিঙ্গ পেপারের ওপর পড়ে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ারম্যান আলী মিয়া, পাপন মিয়া ও ডেমরার সুভাষ চন্দ্র এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েতুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনজন কর্মীসহ পাঁচজন আহত হন। আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি থাকায় ভেতরে যাওয়া যাচ্ছে না।
আফিল পেপার মিলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এখন ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করা যাবে না। আগুন নেভানোর পর বিস্তারিত বলা যাবে। আগুন নেভানোই এখন প্রধান কাজ।