‘সুখে’ ভারতের থেকে এগিয়ে, পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ
‘সুখী’ দেশের তালিকায় ভারত থেকে এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তানের পেছনে পড়েছে বাংলাদেশ।
এই তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। শেষে রয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক।
আজ সোমবার (২০ মার্চ) বিশ্ব সুখ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো সবচেয়ে সুখী। অন্যদিকে, সংঘাতগ্রস্ত দেশ- যেমন সিরিয়া, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদান কম সুখী।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, ‘আপেক্ষিক সুখ’ নামে জাতিসংঘ বিশ্ব সুখের একটি প্রতিবেদন পরিমাপ করে থাকে- মানুষ কত সুখে আছে এবং কেন। জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন পাঁচ বছর ধরে প্রকাশ করে আসছে। প্রতিবছরই উত্তর ইউরোপের নরডিক দেশগুলো শীর্ষ অবস্থানগুলো দখল করছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তালিকার প্রথম পাঁচটি দেশ হলো নরওয়ে, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। তালিকার শেষে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ওপরের চারটি স্থানে রয়েছে বুরুন্ডি, তানজানিয়া, সিরিয়া ও রুয়ান্ডা।
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৮০তম স্থানে থেকে সবচেয়ে সুখী। বাংলাদেশ ১১০ ও ভারত ১২২তম স্থানে। সবচেয়ে অসুখী ১৪১তম স্থানে থাকা আফগানিস্তান।
এই প্রতিবেদনের জন্য প্রতিবছর ১৫০টি দেশে হাজারেরও বেশি মানুষকে একটি সোজা, আপেক্ষিক প্রশ্ন করা হয়।
‘একটি মই কল্পনা করুন, যার সিঁড়িগুলো শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত নম্বর দেওয়া আছে’, প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করে। ‘মই-এর সবচেয়ে উঁচু সিঁড়িটা আপনার জন্য সব সম্ভাব্য সবচেয়ে সুখকর জীবন, আর মই-এর সবচেয়ে নিচের সিঁড়িটি আপনার জন্য সবচেয়ে খারাপ জীবন। আপনার মতে, আপনি এই মুহূর্তে মই-এর কোন সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন?’
গড় ফলাফল হচ্ছে দেশটির স্কোর- নরওয়ের ৭ দশমিক ৪ থেকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ২ দশমিক ৬৯।
তবে প্রতিবেদনে আর্থ-সামাজিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেও দেখেছে একটি দেশ অন্য দেশের চেয়ে কেন বেশি সুখী। এই বিশ্লেষণে দেশের অর্থনৈতিক শক্তি (দেশজ সম্পদ), সামাজিক নিরাপত্তা, গড় আয়ু, ব্যক্তি স্বাধীনতা, দুর্নীতি নিয়ে ধারণা।