গোদাগাড়ীতে ভাতাভোগী ৩০ মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া চিহ্নিত
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যাচাই-বাছাই শেষে ৩০ জন ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ১৩০ জন, অনলাইনে আবেদনকৃত ২৪৯ ও সরাসরি আবেদনকৃত ২৯ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি। এর পর গেজেটভুক্ত ১৩০ জনের মধ্যে ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে বৈধ করা হয় এবং ৩০ জনকে ভুয়া চিহ্নিত করে তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাতিল ঘোষণা করা হয়। অনলাইন ও সাধারণভাবে আবেদনকৃত ২৭৮ জনের মধ্যে ২৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ভাতাভোগী যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁরা হলেন—হরিশংকরপুর গ্রামের আবেদ আলী, চর বয়ারমারী গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, শ্রীমন্তপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ মিয়া, চর বয়ারমারী গ্রামের আবদুল হাকিম, ভাটোপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হক, সিধনা গ্রামের মৃত মাইনুল হক, বেণীপুর গ্রামের আহম্মদ আলী, নাজিরপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহমান, শ্রীমন্তপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলাম, বুজরুকপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, বিদিরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিন, উজানপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেন, বড়গাছি গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুস সরকার, পিরিজপুর গ্রামের শাহজাহান, কাশিমপুর গ্রামের নাজমুল হক, মোল্লাপাড়া গ্রামের বীরেন্দ্রনাথ, মাণ্ডইল গ্রামের আবদুল লতিফ, হরিণবিস্কা গ্রামের আবু মুসা, সৈয়দপুর গ্রামের মৃত সাবেদ আলী, আলতাব হোসেন, সুলতান সরকার, মালিগাছা গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, কদমশহর গ্রামের মৃত জুলমত আলী, ভগবন্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, বারুইপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন, রসুলপুর গ্রামের রুহুল আমিন, বালিয়াঘাট্টা গ্রামের আবুল কাশেম এবং ওবিয়া বাসুদেবপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা।
বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধারা এত দিন সরকারি ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজ বলেন, বৈধ কাগজপত্র ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হয়েছে। বাতিল হয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা ফল ঘোষণার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ১৩০ জন অনলাইনে, ২৪৯ জন সরাসরি আবেদনকৃত ২৯ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি। গেজেটভুক্ত ১৩০ জনের মধ্যে ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে বৈধ করা হয় এবং ৩০ জনকে বাতিল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অনলাইন ও সাধারণভাবে আবেদনকৃত ২৭৮ জনের মধ্যে ২৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাতিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছে—উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে আবেদ আলী, চর বয়ারমারী গ্রামের মৃত নকিমুদ্দিনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক, শ্রীমন্তপুর গ্রামের বেলায়েত আলীর ছেলে নূর মোহাম্মদ মিয়া, চর বয়ারমারী গ্রামের সাবেদ আলী মণ্ডলের ছেলে আবদুল হাকিম, ভাটোপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে তোজাম্মেল হক, সিধনা গ্রামের মৃত জয়নাল বিশ্বাসের ছেলে মৃত মাইনুল হক, বেণীপুর গ্রামের তামেজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আহম্মদ আলী, নাজিরপুর গ্রামের মৃত লেওয়াজি মণ্ডলের ছেলে মৃত আবদুর রহমান, শ্রীমন্তপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মৃত নজরুল ইসলাম, বুজরুকপাড়া গ্রামের মৃত মাসিয়াতুল্লা মণ্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, বিদিরপুর গ্রামের মৃত দরবারি মণ্ডলের মৃত মোসলেম উদ্দিন, উজানপাড়া গ্রামের মৃত ফসিউদ্দিন সরকারের ছেলে আলতাব হোসেন, বড়গাছি গ্রামের মৃত ইয়ার মোহাম্মদ সরকারের ছেলে মৃত আবদুল কুদ্দুস সরকার, পিরিজপুর গ্রামের মৃত আজাহার হোসেনের ছেলে শাহজাহান, কাশিমপুর গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে নাজমুল হক, মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত যোগেন্দ্রনাথের ছেলে বীরেন্দ্রনাথ, মাণ্ডইল গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবদুল লতিফ, হরিণবিস্কা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু মুসা, সৈয়দপুর গ্রামের মৃত হাজি আমিনুদ্দীন সরকারের মৃত সাবেদ আলী, আলতাব হোসেন ও সুলতান সরকার, মালিগাছা গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, কদমশহর গ্রামের মৃত সেরাজ উদ্দিনের ছেলে মৃত জুলমত আলী, ভগবন্তপুর গ্রামের মৃত আমানত আলী বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম, বারুইপাড়া গ্রামের মৃত বেলাল উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন, রসুলপুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, বালিয়াঘাট্টা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম এবং ওবিয়া বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত ইসলাম মণ্ডলের ছেলে গোলাম মোস্তফা।
বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা গ্রহণ করে আসছিলেন। এদিকে বৈধ কাগজ থাকার পরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা বৈধ তালিকায় তাঁদের নাম না ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, কয়েকজন বিতর্কিত ও অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে বৈধতা পেয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বলেন, ভারতীয় নাগরিক আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্ত ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করলেও এই মুক্তিযোদ্ধা বৈধতা পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য-সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজ বলেন, বৈধ কাগজপত্র ও যাচাই-বাছাই কমিটির সব সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাতিল হয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা ফল ঘোষণার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।