রাজধানীর সাত রেস্তোরাঁ ও একটি আবাসিক হোটেলকে জরিমানা
পণ্যের দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক রাখায় রাজধানীর সাতটি রেস্তোরাঁ ও একটি আবাসিক হোটেলকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসব প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে অধিদপ্তর।
আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করেন প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিক।
জরিমানা করা হয়েছে, দ্য কের্ত রেস্টুরেন্ট, তাবাক রেস্টুরেন্ট, তারকা রেঁস্তোরা, স্মাইল ফুড কর্নার, বিগ অ্যাপেল, হীরাঝিল রেস্টুরেন্ট, লিবান রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক ‘হোটেল ডি বাদশা’কে। এসব পণ্যের দাম নির্ধারিত মূল্যের বেশি রাখা হয় বলে রেস্তোরাঁ ও হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।
প্রণব কুমার প্রামাণিক জানান, রাজধানীর বনানী এলাকায় অবস্থিত দ্য কের্ত রেস্টুরেন্টকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রেস্টুরেন্টটি বোতলজাত পানিতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখে বলে অভিযোগ করেন মো. মাছউদ পারভেজ নামের এক ভোক্তা।
শবনম স্বপ্নীল নামের এক ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত তাবাক রেস্টুরেন্টকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, কোমল পানীয়র নির্ধারিত ১৭ টাকা মূল্যের পরিবর্তে তাঁর কাছ থেকে ৩০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
দেবাশীষ বিশ্বাস নামের এক ভোক্তা রাজধানীর বনানী এলাকার তারকা রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে দাম বেশি রাখার অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দেবাশীষ তাঁর লিখিত অভিযোগে বলেন, তারকা রেস্তোরাঁ ৫০০ গ্রাম পানির বোতলের গায়ে থাকা নির্ধারিত মূল্যের লেবেল উঠিয়ে নিজেদের লাগানো লেবেলে ৩০ টাকা দাম লিখে রাখে। যার বাজার মূল্য ১৫ টাকা। ওই হিসাবে তাঁর কাছ থেকে তারকা রেস্তোরাঁ ১৫ টাকা বেশি রাখে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার স্মাইল ফুড কর্নারের বিরুদ্ধে পানিতে দাম বেশি রাখার অভিযোগ করেন মো. মাহফিদুল ইসলাম। ভোক্তা মাহফিদুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্তোরাঁটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাইফুল আলম নামের এক ভোক্তা অভিযোগ করেন, রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটির বিগ অ্যাপেল তাঁর কাছ থেকে ২৫ টাকার নির্ধারিত দামের পানির দাম ৩০ টাকা রাখে। ৫ টাকা বেশি রাখায় তিনি ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে প্রতিকার চান। শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মতিঝিলের হীরাঝিল রেস্টুরেন্টকে এক ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী সুলতান মাহমুদ তাঁর লিখিত অভিযোগে বলেন, ১৫ টাকা মূল্যের বোতলজাত পানিতে রেস্তোরাঁটি ২০ টাকা দাম রাখে।
রাজধানীর মহাখালীর লিবান রেস্টুরেন্টকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাকিব নামের এক ভোক্তা অভিযোগ করেন ১৫ টাকার পানির বোতল ওই প্রতিষ্ঠান ২০ টাকা রেখেছে।
শামিম শাহরিয়ার নামের এক ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিলের আবাসিক হোটেল-ডি বাদশাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, হোটেলটি ১৬ টাকার কোমল পানীয়র দাম ২০ টাকা রাখে।