একই রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছি : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের ‘পার্শ্ববর্তী দেশ’, ‘বন্ধু রাষ্ট্রগুলো’ সবাই একই রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাইয়ে ভাইয়ে একে অপরের বিপদে আপদে সহযোগী হিসেবে কাজ করব।’
আজ শনিবার রাজধানীতে ভারতের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক তিন হাজার মেগাওয়াট এবং আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই করা হয়।urgentPhoto
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে পার্শ্ববর্তী দেশ, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো তাদের সঙ্গে গত ৪০ বছরে যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে একটা সীমানা রেখা ছিল। আমি মনে করি, ধীরে ধীরে সেটাও আজকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। আমরা এখন সবাই একই রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছি। আমরা সবাই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাইয়ে ভাইয়ে একে অপরের বিপদে আপদে সহযোগী হিসেবে কাজ করব। এই প্রতিজ্ঞাই কিন্তু সার্ক রাষ্ট্রগুলোর ধারণা এবং সেই প্রতিজ্ঞাকে ঘিরেই আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে যাচ্ছি।’
ভারতের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার ব্যাপারে অনেক সময়ে নানা প্রশ্ন ওঠে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন যে, কেন ভারতের কাছ থেকে আমরা বিদ্যুৎ নিচ্ছি? এ প্রশ্নটা কেন আসছে, যে ভারত থেকে কেন নিচ্ছি, কেন আমরা নেপাল থেকে নিচ্ছি না, কেন দেরি হচ্ছে, অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রশ্ন করেছেন। নেপালে যে বিদ্যুৎ আমরা নিতে যাচ্ছি, আমরা দ্রুততার সঙ্গে নিতে যাচ্ছি, নেপালের হাইড্রো পাওয়ারে সময় লাগবে প্রায় আট থেকে ১০ বছর; ভুটানেও আমরা চেষ্টা করছি। ভারত ভাইদের আমাদের সহযোগিতা লাগবে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্যও ভারত ভাইদের সহযোগিতা লাগবে। সেখানেও আমরা এগিয়ে গেছি। এবং সবচাইতে বড় জিনিস হলো, ভারত থেকে এরই মধ্যেই আমরা নিচ্ছি ৫০০ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে আগামী ডিসেম্বরে আমরা নিতে যাব আরো ১০০ মেগাওয়াট।’
আজ ভারতের আলাদা দুটি বড় কোম্পানির সঙ্গে চার হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের প্রধান সোপান বিদ্যুতের ঘাটতি রোধে মহাপরিকল্পনা নিয়েই বর্তমান সরকার এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।
এ সময় রিলায়েন্স ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের প্রতিনিধিরা জানান, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করাই তাঁদের চ্যালেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।