২১ জেলায় পণ্য পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় চলমান ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরিতে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাড়ে ৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে ট্রাক, কাভারভ্যান ও লরি মালিক-শ্রমিকদের পক্ষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন নৌমন্ত্রী।
অ্যাঙ্গেল, হুক ও বাম্পার খুলে ফেলার নির্দেশ বাতিল, পথেপথে চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধসহ ১২ দফা দাবিতে মালিক ও শ্রমিকরা গত সোমবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট চালিয়ে আসছে।
ধর্মঘট আহ্বানকারী ট্রাক, কাভারভ্যান ও লরি মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকের একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে অন্য একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেরিয়ে যান।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, কোনোক্রমেই আমরা অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তা দিয়ে যেতে দিব না। চাঁদাবাজির প্রশ্নটা অনেক সময় অনেক কথাই হয়। বাস্তবে গিয়ে এর হেড অ্যান্ড টেল খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বলেছি, চাঁদাবাজি যেখানে হয় আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে। আমরা সেটা দেখব। আমরা সেটা বন্ধ করব।
বেলা সাড়ে ৪টার সময় শ্রমিক নেতা ও মালিকদের সঙ্গে বেঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত পণ্যবোঝাইয়ের জন্য যে এক্সেল আমাদের আছে সেখানে কোনো অনিয়ম হয় কি না, সে অনিয়ম পরিদর্শনের জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়ে করা কমিটি সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবে। তারপর অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই বন্ধ কীভাবে করব সেটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল গাফফার বিশ্বাস বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য এখানে যাঁরা প্রশাসনিক কর্মকর্তা যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’