প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুই আসামি কারাগারে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুল হক ও টেকনিশিয়ান শাহ আলম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিকেলে আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম।
নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ নয়জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। পরে আজকে কারাগারে পাঠানো দুই আসামিকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শুরুতে মামলায় যে নয়জন আসামি ছিলেন তাঁরা হলেন বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। গ্রেপ্তার হওয়া প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুল হক ও টেকনিশিয়ান শাহ আলমসহ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমানটি। ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরো দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এই দুই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এরই মধ্যে মামলার আসামিদের বরখাস্ত করা হয়েছে।