কমিশন ‘পরীক্ষা’ দিয়ে দেখল, ঘণ্টায় ভোট পড়ে ৭৫টি
ভোটগ্রহণের একটি কক্ষ। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, এজেন্ট সবাই আছেন। বুথও আছে একটি। একের পর এক ভোটার আসছেন, ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এভাবে চলে কাঁটায় কাঁটায় দুই ঘণ্টা। পরে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়। শুরু হয় গণনা। দেখা যায়, ভোট পড়েছে মোট ১৫২টি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের ইলেকশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আজ বুধবার সকালে ভোটগ্রহণের এ পরীক্ষাটি চলে। নির্বাচন কমিশনের ভাষায়, মক ভোটিং বা প্রতীকী ভোট। মাগুরা-১ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে এ প্রতীকী ভোটের আয়োজন করা হয়।
‘পরীক্ষা’ শেষে ইটিআইয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, কার্যক্রমে প্রথম ঘণ্টায় ৭১টি এবং দ্বিতীয় ঘণ্টায় ৮১টি ভোট পড়েছে। এ থেকে ধারণা করা যায়, একটি বুথে ঘণ্টায় ৭৫টির মতো ভোট পড়তে পারে।
মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমরা আজ মাগুরা-১ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ঘণ্টার একটি পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এখানে অন্যান্য নির্বাচনের মতো সকল নিয়ম অনুযায়ী মক ভোটিং (প্রতীকী ভোট) কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।’
এর আগে গত ২১ মে মাগুরা উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, একটি বুথে ঘণ্টায় কতটি ভোট কাস্ট হতে পারে, সেটি পরীক্ষার জন্য নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এরপরই পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইটিআই।
ইসি সূত্রে জানা যায়, মাগুরা-১ উপনির্বাচনে সকাল থেকে ঘণ্টায় কত ভোট পড়ছে তা ইসি সচিবালয় থেকে মনিটরিং করতে পাঁচজনকে দায়িত্ব দিয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এই সেল থেকে প্রতি ঘণ্টায় কোন বুথে কত ভোট পড়ছে তার খবর রাখবেন। যদি দেখা যায়, কোনো কেন্দ্রে ভোট বেশি পড়ছে, তাহলে বোঝা যাবে সেখানে কারচুপি হচ্ছে। তখন ইসি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। সে জন্য কারচুপি রোধে মক ভোটিং করে ঘণ্টায় কত ভোট পড়তে পারে তার সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছে।
সদ্য সমাপ্ত তিন সিটি নির্বাচনের ফলাফল থেকে জানা যায়, ১০টিরও বেশি কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩০ মে মাগুরা-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।