প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও অসম্মানজনক সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পথে নামলেন। এই কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তা পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় শিক্ষা কার্যক্রমসহ গোটা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। 

আজ বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। 

এর আগে প্রস্তাবিত এ বেতন কাঠামোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জাবি শিক্ষকদের মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষকরা সব সময়ই নিগৃহীত। অন্যদিকে আমলারা সবক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। শিক্ষকদের শুধুমাত্র বেতন কাঠামো নয়, পদমর্যাদাও উন্নত করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশের শিক্ষাকার্যক্রম অচল করে দিয়ে দাবি আদায় করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকরা আজ কী অবস্থায় রাস্তায় নেমে এসেছে তা সহজেই অনুমেয়। কিছু আমলা শিক্ষকদের মান-মর্যাদা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। এ চক্রান্তকারীরা সরকারকে সবন সময় বিপদে ফেলতে চান।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দীন বলেন, ‘সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, কোনো অবস্থাতেই যেন শিক্ষকদের খেলনায় পরিণত করা না হয়। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
 
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক হানিফ আলী, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ প্রমুখ।
 
এদিকে শিক্ষকদের এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
 
এ কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক রাশেদা আখতার প্রমুখ।